বিজেপি এজেন্ট এর বৌমাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে কান ধরে উঠবস করালেন তৃণমূল নেত্রী - ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড়

6th May 2021 11:16 pm বর্ধমান
বিজেপি এজেন্ট এর বৌমাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে কান ধরে উঠবস করালেন তৃণমূল নেত্রী - ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড়


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  প্রকাশ্য দিবালোকে পথ চলতি মানুষের সামনে বিজেপি এজেন্টের বাড়ির বৌমাকে কান ধরে উঠবস করাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী । পাশে দাঁড়িয়ে মায়ের উপরে চলা নির্যাতন চাক্ষুষ করে শুধু চোখের জল ফেলে গেল মেয়ে ।খোদ বর্ধমান শহরের উপকন্ঠে হ্যাচারি রোড ক্যানেলপাড় এলাকার বাজারে ঘটেছে এই ঘটনা । এমন রাজনৈতিক শাস্তি দেওয়ার ঘটনা ভিডিও বৃহস্পতিবার নেট দুনিয়া ভাইরাল হয়। যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান বর্ধমানবাসী। নিন্দার ঝড় ওঠে নানা মহল থেকে । তার পরেই শাস্তি দাতা বৈকুণ্ঠপুর ২ পঞ্চায়েতের সদস্যা তথা তৃণমূল নেত্রী মিতা দাস এদিন সাফাই দেন তিনি কিছু করেন নি । এলাকার সাধারণ মানুষ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে । যদিও বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছেন ,ভোটের ফল ঘোষনায় পর থেকে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা যে তালিবানি  কায়দায় বিরোধীদের উপরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে এই ঘটনা তারই প্রমাণ দিচ্ছে ।  নেট দুনিয়ায়  যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে বাজারের মধ্যে শাড়ি পড়া এক মহিলা কানধরে ওঠবস করছেন। পাশে বাজারের থলি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর মেয়ে। উল্টোদিকে, তাঁকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন  তৃণমূল নেত্রী মিতা দাস । কানধরে ওঠবস করার সময় কাঁদছেন ওই মহিলা।আর  মায়ের উপরে চলা নির্যাতন দেখে তাঁর মেয়েও  কাঁদছেন । কিন্তু মহিলার কান্না দেখেও  দমে যায় নি তৃণমূল নেত্রী। ভিডিওতে দেখাযায় তৃণমূল নেত্রী  মুখের মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে আরো কড়া  শাস্তির হুমকি দিয়ে চলেছেন ।   ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই এদিন  খোঁজ খবর চালিয়ে জানাযায় ওই মহিলার ভাসুর প্রসান্ত বাবু বর্ধমান উত্তর বিধানসভার ৩১ নম্বর জেলা পরিষদের একটি বুথের এজেন্ট  ছিলেন। ওঠবস করানো হচ্ছে প্রশান্ত বাবুর বৌমি  প্রিয়াঙ্কাদেবী কে ।কারণ তিনি  বিজেপি সমর্থক।বিজেপি করার অপরাধে প্রিয়াঙ্কাদেবীকেশাস্তি দেন বৈকন্ঠপুর ২ পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূল নেত্রী  মিতা দাস।   এই ঘটনা নিয়ে নিন্দায় ঝড় উঠতেই  তৃণমূল নেত্রী মিতা দাস সাফাই দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন ,“তিনি কিছু করিন নি ।এলাকার সাধারণ মানুষই এই কাণ্ড করেছে।ঘটনাচক্রে তিনি শুধু ওই জায়গায় উপস্থিত ছিলেন মাত্র“ ।  যদিও বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, “তৃণমূল জয়ী হওয়াতে এখন এই পশ্চিমবঙ্গে  ১৯৪৬ সালের অবস্থা ফিরে এসেছে ।শ্যামল বাবু দাবি করেন ,ওই মহিলার ভাসুর বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন। তাই মিতা রায় মহিলাকে বাজারের মধ্যে মেয়ের সামনে কানধরে ওঠবস করিয়েছেন । শ্যামহবাবু জানান ,এই তালিবানি শাস্তির বিষয়ে পুলিশকে জানানো হলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি “।    বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এই রকম ঘটনা আমার জানা নেই।খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।তাঁর দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের কোন নেতা কর্মী এমন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না । ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।